বাংলা আর্টিকেল লিখার ১৫ টি নিয়ম সমূহ

বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম গুলো জেনে নিজের ব্লগ সাইটের জন্য আপনি খুব সহজেই  আর্টিকেল লিখতে পারবেন। বাংলা ভাষায় আর্টিকেল লেখার চাহিদা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। সহজ ভাষায় দরকারি তথ্য পাঠকদের কাছে তুলে ধরতে বাংলা আর্টিকেল একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।


একটি ভালো মানের আর্টিকেল লেখার জন্য কিছু নিয়ম বা কৌশল রয়েছে, যা মেনে চললে আপনার লেখা আরো সুন্দর, আকর্ষণীয় এবং তথ্যবহুল হবে বাংলা আর্টিকেল লেখার মূল উদ্দেশ্য হলো পাঠকদের জ্ঞান বৃদ্ধি করা। তাই আমরা আলোচনা করব একটি মানসম্মত বাংলা আর্টিকেল কিভাবে লেখা যায়।

সূচিপত্র

 আর্টিকেল কি
বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়মসমূহ
ফোকাস কীওয়ার্ড নির্বাচন
আকর্ষণীয় টাইটেল নির্বাচন                                
আর্টিকেলে ভূমিকা যুক্ত করা
 দরকারি তথ্যগুলো তুলে ধরা
লেখাগুলোপ্যারাগ্রাফ আকারে লিখা
নাম্বার ও বুলেট পয়েন্ট ব্যবহার
ইন্টারনাল লিংক সংযুক্ত করা
ফিচার ইমেজ ব্যবহার
প্রয়োজনীয় ইমেজ ব্যবহার
উপসংহার যুক্ত করা  
আর্টিকেল ফরমেটিং করা
কপিরাইট এড়িয়ে চলা
অনপেজ এসিও

 আর্টিকেল কি

আর্টিকেল হল এমন একটি লেখা যা নির্দিষ্ট বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেয়। এটি পাঠকদের শিক্ষিত করে, জ্ঞান বৃদ্ধি করে এবং ভিন্ন ভিন্ন বিষয় সম্পর্কে ধারণা দেয়। আর্টিকেল বিভিন্ন ধরনের হতে পারে যেমন, বিশ্লেষণ ধর্মী, মতামতভিত্তিক, তথ্যপূর্ণ ইত্যাদি।

বাংলা আর্টিকেল লিখতে হলে সহজ ও সঠিক ভাষায় লেখা উচিত যাতে পাঠকরা সহজেই বুঝতে পারে। এছাড়াও, আর্টিকেলটি এমনভাবে লিখতে হবে যাতে পাঠকরা সহজেই বুঝতে পারে এবং পড়তে আগ্রহী হয়।

বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম সমূহ

বাংলা আর্টিকেল লেখার সহজ নিয়ম গুলো জানতে পারলে আপনার লেখাগুলো হয়ে উঠবে মানসম্মত এবং আকর্ষণীয়। আর্টিকেল লেখার মূল লক্ষ্য হলো সহজ ভাষায় আর্টিকেল লিখে পাঠকের মনোযোগ ধরে রাখা এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সঠিকভাবে উপস্থাপন করা।

আপনার লেখা পাঠকের কাছে তথ্যবহুল ও উপকারী হবে তখনই যখন আপনি সঠিক নিয়ম ও কৌশল মেনে আপনার লেখা উপস্থাপন করবেন। এই নিবন্ধে বাংলা আর্টিকেল লেখার বিস্তারিত নিয়মসমূহ তুলে ধরা হলো

ফোকাস কিওয়ার্ড নির্বাচন

সর্বপ্রথম আপনাকে এমন একটি কিওয়ার্ড নির্বাচন করতে হবে যা আপনার আর্টিকেলের মূল বিষয়গুলোকে তুলে ধরে। এই কিওয়ার্ডটি আপনার আর্টিকেল কে সার্চ ইঞ্জিনে খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিবে। সঠিক কিওয়ার্ড নির্বাচন করলে আপনার আর্টিকেলটি গুগল বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনের শীর্ষে ওঠার সুযোগ অনেক বেশি থাকে।

কিওয়ার্ড গবেষণা করার জন্য আপনি বিভিন্ন টুল ব্যবহার করতে পারেন। যেমন google কিওয়ার্ড প্ল্যানার। কিওয়ার্ড নির্বাচন করার সময় আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে এটি যেন আর্টিকেলের বিষয়বস্তুর সাথে সম্পর্কিত হয় এবং সার্চ ইঞ্জিনের কাছে জনপ্রিয় ও আকর্ষণীয় হতে হবে।

আকর্ষণীয় টাইটেল নির্বাচন

একটি সুন্দর, আকর্ষণীয় ও সঠিক টাইটেল আপনার আর্টিকেলের প্রতি পাঠকের আগ্রহ অনেক বাড়িয়ে দিবে। টাইটেল এমন হওয়া উচিত যা পাঠককে ক্লিক করতে উদ্ভূত করে। টাইটেলটি অবশ্যই সংক্ষিপ্ত এবং তথ্যবহুল হতে হবে।

পাঠক টাইটেল দেখে যেন সহজে বুঝতে পারে আর্টিকেলটি কোন বিষয়ে লেখা হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি' ওজন কমানোর উপায় এবং কার্যকর পদ্ধতি' এই বিষয়ে একটি আর্টিকেল লিখেন, তাহলে আপনার টাইটেল হতে পারে' ওজন কমানোর সহজ ১০ টি টিপস।

আর্টিকেলে ভূমিকা যুক্ত করা

প্রতিটি আর্টিকেলের শুরুতে দুই থেকে তিন লাইনের একটি ভূমিকা থাকা উচিত, যা পাঠককে মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে ধারণা দেয়। এটি পাঠকের আগ্রহ ধরে রাখতে অনেক সাহায্য করে। আপনি কি বিষয়ে আলোচনা করবেন এবং কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ তা ভূমিকা অংশ উল্লেখ করতে পারেন।

ভূমিকা অংশটি ছোট হলেও এটি হতে হবে আকর্ষণীয় এবং তথ্যবহুল, যাতে পাঠক আর্টিকেল পড়তে অনেক বেশি আগ্রহী হয়। উদাহরণস্বরূপ, আপনার যদি আর্টিকেলের বিষয়বস্তু হয় 'ঘরোয়া উপায়ে ত্বকের যত্ন, তাহলে ভূমিকা অংশে আপনি বলতে পারেন কোন কোন উপাদান দিয়ে ত্বকের যত্ন নেওয়া যায়। এবং কিভাবে এটি আপনার জীবনে পরিবর্তন আনতে পারে।

 দরকারি তথ্যগুলো তুলে ধরা


আর্টিকেলের মূল অংশে বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কিত সব দরকারি তথ্যগুলো তুলে ধরবেন। তথ্যগুলো সঠিক কিনা তা যাচাই করা উচিত। তথ্যবহুল আর্টিকেল পাঠককে শিক্ষিত এবং তাদের জ্ঞান বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আর্টিকেলের মধ্যে প্রাসঙ্গিক উদাহরণ ও তথ্যচিত্র ব্যবহার করে বিষয়টি আরো পরিষ্কার করে তুলুন।

তথ্যগুলো এমন ভাবে উপস্থাপন করবেন যাতে পাঠক সহজেই বুঝতে পারে এবং প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো সহজেই পেয়ে যায়। তথ্যগুলো সংঘটিত করে উপস্থাপন করলে পাঠক আরো সহজে বিষয়টি বুঝতে পারবেন।

লেখাগুলো প্যারাগ্রাফ আকারে লিখা

আর্টিকেল লেখার সময় প্রথমে আপনারা দীর্ঘ লেখাকে ছোট ছোট প্যারাগ্রাফ আকারে ভাগ করুন। এতে করে পাঠক লেখাগুলো সহজেই পড়তে ও বুঝতে পারবে। প্রতিটি প্যারাগ্রাফ একটি প্রধান পয়েন্ট তুলে ধরুন এবং সে পয়েন্টটি বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করুন। এতে পাঠক ক বিষয়টি ধাপে ধাপে বুঝতে পারবে।

দীর্ঘ লেখাগুলোকে ছোট ছোট প্যারাগ্রাফে ভাগ করলে লেখাগুলো দেখতে যেমন সুন্দর হয় তেমনি পাঠকের জন্য পড়া সহজ হয় এবং তারা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে পাঠ করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার আর্টিকেলের বিষয়বস্তু হয়' সুস্থ থাকার জন্য ব্যায়াম' তাহলে আপনি প্রতিটি প্যারাগ্রাফে কোন কোন এক্সারসাইজ করলে শরীর সুস্থ থাকবে। এবং কিভাবে সেই এক্সারসাইজ গুলো করা যায় এই বিষয়গুলো লিখতে পারেন।

নাম্বার ও বুলেট পয়েন্ট ব্যবহার

আর্টিকেলের মধ্যে বিভিন্ন তথ্য ও পয়েন্টগুলো সহজে উত্থাপন করার জন্য নাম্বার ও বুলেট পয়েন্ট ব্যবহার করুন। এতে আর্টিকেলটি দেখতে সুন্দর এবং পড়তে সহজ ও আরামদায়ক হয়। নাম্বার ও বুলেট পয়েন্ট ব্যবহার করে তথ্যগুলো সজ্জিত করলে পাঠক বিষয়টি দ্রুত বুঝতে পারে।

উদাহরণস্বরূপ,  ঘরোয়া উপায়ে ত্বকের যত্ন ১৫ টি টিপস'বিষয় লিখেছেন, তাহলে প্রতিটি টিপসআলাদা আলাদা নাম্বারে বা বুলেট পয়েন্টে উপস্থাপন করতে পারেন। এতে পাঠক খুব সহজে প্রতিটি টিপস পড়তে এবং ভালোভাবে বুঝতে পারবেন।

ইন্টারনাল লিংক সংযুক্ত করা

পাঠকদের আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়ে সাহায্য করতে আপনার ওয়েবসাইটের অন্যান্য প্রাসঙ্গিক আর্টিকেলের লিংক দিন। এটি আপনার সাইটের এসইও রেংকিং বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ইন্টার্নাল লিংক ব্যবহার করে আপনি পাঠকদের আপনার সাইটে আরও বেশি সময় ধরে রাখতে পারবেন এবং তাদের আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো দিতে পারবেন।

উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার আর্টিকেলের বিষয়বস্তু হয় গাজর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা' তাহলে আপনি, ঘরোয়া উপায়ে ত্বকের যত্্‌ প্রাকৃত চুলের যত্ন বিষয়ে আপনার ওয়েবসাইটের অন্যান্য আর্টিকেলে লিংক দিতে পারেন।

ফিচার ইমেজ ব্যবহার

আপনার আর্টিকেলটি আকর্ষণীয় করতে ফিচার ইমেজ ব্যবহার করুন। এটি পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সাহায্য করে. ফিচার ইমেজ অবশ্যই উচ্চমানের হওয়া উচিত। আর্টিকেলের মধ্যে ইমেজ ব্যবহার করলে সেটি আরো সুন্দর, আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে এবং পাঠকের মনোযোগ ধরে রাখতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।

উদাহরণস্বরূপ যদি আপনার আর্টিকেলের বিষয়বস্তু হয়, প্রাকৃতিক উপায়ে চুলের যত্ন' তাহলে ফিচার ইমেজ হিসেবে একটি মানুষ কোন কোন প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে চুলের যত্ন করতে পারে সেরকম একটি ছবি আর্টিকেলের মধ্যে ব্যবহার করা।

প্রয়োজনীয় ইমেজ ব্যবহার

আর্টিকেলের মধ্যে দরকারি ইমেজ ব্যবহার করুন যাতে পাঠকরা ভালোভাবে বুঝতে পারে। তবে ইমেজটি উচ্চমানের ও প্রাসঙ্গিকতা বজায় রাখতে হবে। আপনারা ইমেজের সাথে প্রয়োজনীয় ক্যাপশন যোগ করুন যাতে পাঠক ইমেজের গুরুত্ব বুঝতে পারে।

উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার আর্টিকেল এর বিষয়বস্তু হয় গাজর খাওয়ার উপকারিত্‌ তাহলে আপনি গাজর খেলে কোন কোন বিষয়ের উপকার হয় সেটা লিখতে হবে। এবং একটি সুস্বাদু ও সুন্দর গাজরের ইমেজ ব্যবহার করতে পারেন।

কপিরাইট এড়িয়ে চলা

কোনভাবে কনটেন্টে কপিরাইট করা যাবে না। সব সময় নিজস্ব ধারায় এবং নিজস্ব ভাষায় কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে। কপিরাইট কনটেন্ট ব্যবহার করলে আপনার ওয়েবসাইটের সুনাম ক্ষুন্ন হবে এবং আইনগত সমস্যায় হতে পারে।

সব সময় নিজস্ব ভাষায় ও নিজস্ব ধারায় আর্টিকেল লিখলে লিখার গুণগত মান ভালো এবং মৌলিক ও আকর্ষণীয় হয়। আপনি যদি লিখতে চান ঘরোয়া উপায়ে ত্বকের যত্ন। তাহলে সেটা নিজস্ব অভিজ্ঞতা এবং ধারার ভিত্তিতে সুন্দরভাবে তথ্য উপস্থাপন করতে পারবেন।

উপসংহার যুক্ত করা

দিবস আরবি তারিখ বার ইংরেজি তারিখ
ইসরা মিরাজ ২৭ রজব ১৪৪৫ বৃহস্পতিবার ০৮ ফেব্র্রুয়ারী ২০২৪
নিশফু শা বান ১৫ শাবান১৪৪৫ রবিবার ২৫৮ ফেব্র্রুয়ারী২০২৪
প্রথম রমজান ০১রমজান ১৪৪৫ সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪
ঈদুল ফিতর ০১ শাওয়াল১৪৪৫ বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪
ঈদুল আযহা ১০ জুল-হিজ্জাহ রবিবার ১৬ জুন ২০২৪
ইসলামিক/আরবি নববষ্ ০১ মহরম রবিবার ০৭ জুলাই ২০২৪
ঈদে মেলাদুল নবী ১২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ রবিবার ১৫সেপ্টেম্বর2024







এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url